দীর্ঘদিন ধরে রোগ-শোকে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোমায় পাঠিয়ে দিয়েছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ছোট্ট দেশ ভুটান। একটি পরাজয়ের ক্ষত কতটা ভয়াবহ হতে পারে এর একটি স্পষ্ট নমুনা সর্বশেষ প্রকাশিত ফিফা র্যাংকিং। মাত্রই ২০১৫ সালে যে ভুটানের অবস্থান ছিল তালিকার তলানির দিকে ওই ভুটানই ২০১৮ সালে উঠে এসেছে ১৮৮-তে। বাংলাদেশকে হারের যন্ত্রণার সঙ্গে র্যাংকিংয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে স্থানটাও যেন উপহার দিল ভুটান। অনেকেই ওই পরাজয়টায় বলেছেন অকল্পনীয়। তবে আমার মনে হয়, এটি ছিল বাংলাদেশ ফুটবলের বাস্তব অবস্থারই এক প্রতিফলন। বাংলাদেশ ফুটবলের বর্তমান অবস্থার জন্য আর বোর্ডকে এককভাবে দায়ী করে লাভ নেই, বরং এ দায় সমানভাবে বর্তায় ক্লাব ও খেলোয়াড়দের ওপরও।
বাংলাদেশের ফুটবল পেশাদার যুগে প্রবেশ করেছে অনেক দিন আগেই। তবে ওই পেশাদার শব্দটি যে শুধুই কাগজ-কলমের জন্য বরাদ্দ তা স্পষ্টই বোঝা যায় বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের দেখলে। ভুটান বিপর্যয়ের আগে আমরা তাদের দেখেছি ক্ষেপে খেলে জরিমানা দিতে, কোচ কঠোর অনুশীলনে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে কোচ হটানোর মতো ঘটনা ঘটাতে, জাতীয় দলের ক্যাম্প চলাকালে ক্যাম্প রেখে ক্লাব সভাপতির সঙ্গে একত্রে আহারে অংশ নিতে! এ যুগে ওইসব ঘটনা যদি আপনি শীর্ষ কোনো দেশের কাউকে শোনান তাহলে আপনাকে তিনি কৌতুক অভিনেতা ভাবলে তাকে দোষ দেয়ার সুযোগ থাকবে না। এটি তো গেল অপেশাদারিত্বের কিছু উদাহারণ। একই সঙ্গে প্রশ্ন আছে জাতীয় দলের হয়ে খেলা খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়েও। বহু বছর ধরেই এটি শোনা যায়, ক্লাবের হয়ে পাওয়া পারিশ্রমিকের সম্মানার্থে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পা বাঁচিয়ে খেলেন ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষের গোলমুখের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলা তো এখন নিত্যকার দৃশ্য। রক্ষণের অবস্থাও হতশ্রী। জাতীয় দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের শিশুতোষ ভুলের ফায়দা নিতে বাকিদের কথা বাদ দিন, ভুটানই কার্পণ্য করেনি। তাই যে দল এর আগে আমাদের বিপক্ষে কখনোই জয়ের স্বাদ পায়নি ওই দলই গুনে গুনে তিন গোল দিয়েছে। খেলোয়াড়রা বেতন-ভাতার সমস্যা, স্বল্প দিনের প্রস্তুতিসহ নানান ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন বিভিন্ন সময়। তবে এর সবই শোনা যায় পরাজয়ের পর। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনগুলোয় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কথা শুনে প্রমোদ গুনতে পারেন। মাঠের খেলায় যেমনই হোক, কথায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের হারানো প্রায় অসম্ভবের পর্যায়েই পড়ে। যাদের কাছে হেরে অন্তিমশয্যার অপেক্ষায় বাংলাদেশের ফুটবল ওই ভুটানের খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের হয়ে খেলে কত টাকা পান বা ক্লাবের হয়ে পুরো মৌসুম খেলে কত টাকা পান তা শুনলে যে কেউই লজ্জা পাবেন। জাতীয় পতাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পারার গৌরবই যুগে যুগে সব ফুটবলারকে প্রলুব্ধ করেছে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নিজেকে নিংড়ে দিতে। এই আমাদের পূর্বসূরিরা রেখে গেছেন গর্ব করার মতো ইতিহাস। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে বাংলাদেশই প্রথম দল যারা যুদ্ধরত অবস্থায় ফুটবল খেলে জনমত আদায় করার চেষ্টা করেছেন। ওই সময় মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করা ফান্ডেও তারা জমা দিয়েছিলেন পাঁচ লাখ টাকা। দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং জাতীয় পতাকা ওড়ানোর কৃতিত্বও এ দেশের ফুটবলারদেরই। হায়! যে স্থান থেকে আমরা স্বাধীন দেশে ফুটবল চর্চা শুরু করেছিলাম সেখান থেকে এখন যে অবস্থানে রয়েছি তা বিস্ময়কর বললেও কম বলা হয়।
এবার একটু নজর দেয়া যাক ক্লাবগুলোর দিকে। বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা কোনো দলের নিজস্ব স্থায়ী মাঠ নেই। পেশাদার ফুটবলের জন্য তা অত্যাবশ্যক। অধিকাংশ ক্লাবেরই নেই প্র্যাকটিস করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও! নেই জিম এবং নেই পেশাদার ট্রেইনার, ফিজিও, একাডেমি বা বয়সভিত্তিক দল। উল্লেখিত আবশ্যকগুলোর কিছুটা পূরণের চেষ্টা করছে কয়েকটি ক্লাব। অবশ্য পেশাদার লিগের জন্য তা এখনো যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশে ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও। জাতীয় দলের ক্যাম্প চলার সময় তাদের চাপে লিগ বন্ধ হতে দেখেছি আমরা, দেখেছি সূচি পরিবর্তন হতেও। আমরা দেখেছি বয়সভিত্তিক লিগগুলোতেও অংশ নিতে তাদের চূড়ান্ত অনীহার দৃশ্য। শুধু বয়স ভিত্তিকই নয়, বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর আগ্রহের অভাব দেখা যায় এএফসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতেও অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে। এসবের সঙ্গে যোগ করুন গত কয়েক বছরে বিদেশিদের বেতন-ভাতা আটকে রেখে জরিমানা গোনার লজ্জাও। অথচ এ দেশের ক্লাব ফুটবলের দ্বৈরথের চিত্র ছিল অন্য রকম। আবাহনী-মোহামেডানের পতাকা উড়তো মানুষের ঘরে ঘরে। শুধু পতাকা ওড়ানোই নয়, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের দিন স্থবির হয়ে যেত সবকিছুই। ম্যাচ শুরুর বহু আগেই কানায় কানায় পূর্ণ থাকতো গ্যালারি। কেউ যদি বলেন যে, বর্তমানে টেলিভিশনের পর্দায় বিদেশি লিগগুলো দেখতে পাবার অবাধ সুযোগ স্থানীয় দর্শকের মাঠবিমুখ হওয়ার প্রধাণ কারণ তাহলে তা ধোপে টিকবে না। কেননা এ দৃশ্য বিগত শতাব্দী সত্তর, আশি বা নব্বইয়ের দশকেই না শুধু, বরং চলতি শতকের প্রথম দশকেও দেখা গেছে। কোটি টাকার সুপারকাপের ফাইনালের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচটি হয়েছিল দর্শকে ভরা গ্যালারিতেই। ওই মোহামেডান এক সময় শুধু দক্ষিণ এশিয়ারই নয়, বরং এশিয়ার ক্লাব ফুটবলেরই অন্যতম পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছিল। এগুলো এখন শুধুই গল্প বলে মনে হয়।
পেশাদার লিগের মজার আরেকটি বিষয়ের কথা একটু উল্লেখ করতে চাই। সেটি হচ্ছে ‘বাইলজ’। এটি যে কী কাজে আসে বা অাদৌ কোনো কাজে আসে কি না তা নিয়ে সন্দিহান সবাই। আপনি যদি মনে করেন যে, বাইলজ নামক ওই পুস্তকে যা আছে তা হুবহু পালন করে বাফুফে তাহলে স্বপ্নের ঘোরে রয়েছেন। ওই বাইলজের আইন সম্পর্কে এর স্রষ্টাও ন্যূনতম ধারণা রাখেন কি না সন্দেহ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বাফুফের কর্তারা যে ফিরিঙ্গি ভাষার হরফ সম্পর্কে জ্ঞাত এর জানান দিতেই ওই কৌতুকের সৃষ্টি। কারণ পেশাদার লিগ নামক প্রহসনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এটি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে এরূপ কোনো নজির নেই। বরং মধ্যস্থতাতেই সমাধান হয় সব সমস্যার। বাহবা পাওয়ার মতাে কর্ম বৈকি।
বাংলাদেশের ফুটবলের চলমান অচল অবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী এ দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ভুটান বিপর্যয়ের পর যেখানে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠাটা ছিল অত্যাবশ্যক সেখানে বাফুফের উদাসীনতায় ২০১৭ সাল গেছে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে অংশ না নিয়েই! ভুল পড়েননি- ২০১৭ সালে একটিও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফুটবল কিংবদন্তি কাজী সালাউদ্দিন যখন বাফুফেকর্তার আসনে আসীন হন তখন অনেকেই আশার আলো দেখেছিলেন। প্রথম মেয়াদে কোটি টাকার সুপারকাপ করে ওই আশার পালে হাওয়া লাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাফুফে সভাপতির চেয়ারটার কারণেই কি না কে জানে, নব উদ্যোমে পথ চলা শুরু করেও আচমকাই যেন পথ হারালেন সালাউদ্দিন। তার আমলেও বাংলাদেশ ফুটবল পায়নি একটি পূর্ণাঙ্গ ফুটবল একাডেমি! বরং টাকা বকেয়া থাকার কারণে বাফুফের চালু করা একাডেমির কোচরা পাওনাদারের কাছে আটকে থাকার মতো বিরূপ অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হয়েছেন। ক্লাবগুলো কাছে নতজানু হয়ে থাকার নীতি বদলায়নি সালাউদ্দিনের সময়েও। জাতীয় দলের কোচদের পাওনা দিতে গড়িমসি করে ফিফার কাঠগড়ায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বাফুফে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে লজ্জা। কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই পাতানো ম্যাচ বন্ধ করার ক্ষেত্রেও। শুধু ক্লাবের কাছেই নয়, অনেক সময় খেলোয়াড়দের সামনে অসহায় এক বাফুফেকে দেখছি আমরা। ক্যাম্প চলাকালে ক্যাম্প ছেড়ে প্রীতিভোজে অংশ নিতে যাওয়া খেলোয়াড়দের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর অবস্থান নিতে বাফুফের অক্ষমতা ছিল আরো একটি লজ্জাজনক ঘটনা। পেশাদার লিগের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করার আগেই লিগ চালু করা বাফুফে এখনো পেশাদারিত্ব আনতে পারেনি কোনো জায়গাতেই। পারেনি ফুটবলটিকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতেও। দুই বছর আগে একটা চেষ্টা দৃশ্যমান হলেও গত বছরে আবারও ওই ঢাকায় বন্দি ফুটবলকেই দেখছি আমরা। শেষ পর্যন্ত এএফসিকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। অথচ বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শুধু ফুটবল কিংবদন্তিই নন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গর্বিত সদস্যও।
জাতীয় দলের ক্ষেত্রে আরেক সমস্যা প্রতিনিয়ত কোচবদল। এটা দেখলে কেন যেন মনে হয় বাফুফেকর্তারা আশির দশকের বাংলা সিনেমার বড় ভক্ত ছিলেন। নায়ক যেমন প্রথম দর্শনেই নায়িকার প্রেমে পতিত হয়ে কল্পনাতীত সব সংলাপ দিয়ে দর্শককে বিনোদিত করতেন তেমনি বাফুফের হালতও একই। বায়োডাটা ভালো লাগলেই হলো। তার মাহাত্ম বয়ান করে দেয়া বক্তব্যগুলোয় বাংলাদেশ যদি হোসে মোরিনহোর চেয়েও ভালো কাউকে কোচ হিসেবে নিয়ে এসেছে মনে করে থাকেন তাহলে আপনাকে দোষ দেয়ার জো নেই। বিপত্তিটা বাধিয়েছেন সিনেমার গল্পকাররা। প্রণয় থেকে পরিণয় পর্ব পর্যন্ত দেখিয়েই সারা। এরপরের অংশটুকু তারা কখনোই দেখান না। ফলে এ ব্যাপারে বাফুফেকর্তারাও আঁধারে হাতড়ে ফেরেন পথ। ফল? দু’মাস যেতে না যেতেই প্রণয়ের পরিসমাপ্তি। যাকে আপনি মোরিনহোর চেয়ে বেহতার ভেবে আশায় দিন গুনছিলেন, দু’দিন পরই আপনার সামনে হাজির করা হবে তার অযোগ্যতার বিশাল ফিরিস্তি।
এবার একটু তাকান ভুটানের দিকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা যখন সুরম্য বাফুফে ভবনে বসে কবর খোঁড়ার কাজটি করছেন দক্ষতার (!) সঙ্গে সেখানে ভুটান ফুটবল ফেডারশেন মূল অফিসটি দেখলে অবাকই হতে হয়। অপ্রয়োজনীয় জৌলুস তাে দূর, দেশের ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে যেটুকু থাকার কথা তাও নেই। এটুকু দেখেই যদি আপনি ভুটান ফুটবল অবস্থার মূল্যায়ন করতে যান তাহলে তা হবে মস্ত ভুল। বসার জন্য সুরম্য অট্টালিকা তৈরির বদলে ফিফা থেকে বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে দেশের বিভিন্য স্থানে বেশ কিছু একাডেমি করেছে ভুটান ফুটবল ফেডারেশন। একাডেমিগুলোয় রয়েছে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা। এই একাডেমিগুলোই ভুটানকে উপহার দিচ্ছে প্রতিভাবান সব ফুটবলার। প্রয়োজনীয় কাঠামো এখনো তৈরি হয়নি বলে ভুটান এখনো পেশাদার ফুটবল লিগ চালু করতে পারেনি। অথচ ওই অপেশাদার লিগের দলগুলোই খেলে হোম ও অ্যাওয়ের ভিত্তিতে! শুধু এ দুটি উদাহারণই এটুকু বোঝার জন্য যথেষ্ট যে, আমরা যেখানে কিছুই না করে আত্মশ্লাঘায় ভুগছি সেখানে বাকিরা বাস্তবের জমিনে পা রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন অনেক দূর। আপনি আরো অবাক হতে পারেন এটা জেনে, যে দলটি বাংলাদেশকে হারিয়েছে ওই দলের অধিনায়ক পেশায় পাইলট। ফুটবল খেলে মামুনুলদের অর্ধেক তো দূর কাছাকাছি পরিমাণ টাকাও পান না দলের কোনো ফুটবলারই। অথচ ওই আধা পেশাদার দলটিই আমাদের মৌসুমে ৫০-৬০ লাখ টাকা কামানো ফুটবলারদের হারিয়েছে বলে-কয়ে।
ভুটান ফুটবল ফেডারশেনর সংক্ষিপ্ত রূপ আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সংক্ষিপ্ত রূপ ইংরেজিতে একই হলেও দু’দেশের বোর্ডকর্তাদের বিপরীতমুখী অবস্থানই বলে দিচ্ছে ভুটানের বাংলাদেশ বধ আচমকাই ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়, বরং ভুটান ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের দীর্ঘদিনের শ্রমের ফসল। ওই হারের পর যেখানে বাফুফের কর্তাদের বোধােদয় হওয়া উচিত ছিল সেখানে এর বদলে আমরা দেখেছি অহমিকা দেখিয়ে সলিডারিটি কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনা! এ থেকেই স্পষ্ট, সহসাই বাংলাদেশ ফুটবলের অচল অবস্থা কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৭ মার্চ লাউস-এর বিপক্ষে প্রীতিম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ডের অধীন নতুন কী লজ্জা বাংলাদেশের ফুটবলাররা উপহার দেন, অপেক্ষা এখন সেটিই দেখার বিষয়।