রিয়ালের আসল রুপ দেখলো লেগানেস

রিয়ালের আসল রুপ দেখলো লেগানেস

পিছিয়ে পড়ে কামব্যাক করা। এটাই বুঝি মাদ্রিদের প্রতিনিয়ত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রোনালদোবিহীন মাদ্রিদ লেগানেস এর বিরুদ্ধে রচনা করলো আরো একটি ছোট খাটো ক্যামব্যাক।

টনি ক্রুস, মার্সেলো, লুকা মদ্রিচের মত কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ইঞ্জুরিতে থাকা সত্ত্বেও জিদান এই ম্যাচে রোনালদোকে বিশ্রাম দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সাথে রিয়ালের গোল প্রহরী নাভাসকেও বিশ্রাম দেয়া হয়।

ম্যাচে মাদ্রিদের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটেই গোল হজম করে বসতে হয় রিয়ালকে। কর্ণার থেকে আসা বলটি লেগানেস এর বাস্তিনজার মাথা ছুয়ে খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। নিজের ২য় চেষ্টায় গোলটি করেন বাস্তিনজা। প্রথমে তার শটটি ঠেকিয়ে দেন কিকো তবে ২য় চেষ্টায় ঝাপিয়ে পরে হেড দিয়ে গোলটি করেন তিনি। মাদ্রিদকে অবশ্য পিছিয়ে থাকতে হয়নি বেশিক্ষণ।

ম্যাচের ১১ তম মিনিটেই ম্যাচে ফিরে আসে মাদ্রিদ। লেগানেস ডিফেন্ডার এর বল ক্লিয়ারেন্স এর মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ান ক্যাসেমিরো, পাস দেন বেনজেমা, মাতেও কোভাসিচ এর লুকাস ভাস্কেসকে লক্ষ্য করে দেয়া পাসের মধ্যে সামান্য আশুরচনা করেন। বল পায়ে আসে ভাস্কেসের। অনবদ্য নৈপুণ্যের সাথে ফিনিশিং করেন ভাস্কেস। স্কোরলাইন হয়ে যায় ১-১। এসিস্ট ক্যাসেমিরো।

১ম গোলের দেখা পাবার পরেই মাদ্রিদ আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করতে থাকে তারা। সাফল্যও আসে ম্যাচের ২৯ তম মিনিটে। আবারো মধ্যমণি ক্যাসেমিরো। লুকাস ভাস্কেসের পা থেকে বল পেয়ে নিখুত ফিনিশিংয়ের মাধ্যমে গোল করেন এই মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। লেগানেস কিপার তার শটের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগেই বল জালে পাঠিয়ে দেন এই ব্রাজিলীয়। মাদ্রিদ এই গোলের পরেও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি আর কোন দল।

২য় হাফে আবারো আক্রমণাত্মক রিয়াল মাদ্রিদ। তবে লেগানেসও যে সুযোগ তৈরি করেনি এমনটি নয়। ম্যাচের ৬৪ তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার সবচেয়ে বড় সুযোগটি পায় তারা। কিন্তু কিকো ক্যাসিয়ার অসাধারণ নৈপুণ্যে গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় রিয়াল। ম্যাচের আর ১৫ মিনিট বাকি থাকতে বেনজেমার পরিবর্তে মাঠে নামেন বেল।

ম্যাচের ৮৯ তম মিনিটে মাতেও কোভাসিচকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফেলে দেন লেগানেস এর ডিয়েগো রিকো। রেফারি মাদ্রিদের পক্ষে পেনাল্টি দেয়। রোনালদো মাঠে থাকলে তিনিই পেনাল্টির দায়িত্ব নিতেন কোন সন্দেহ ছাড়া। যেহেতু তিনি মাঠে নেই তাই পেনাল্টি থেকে গোল করার দায়িত্ব কাধে নেন রামোস এবং পেনাল্টি থেকে গোলও করেন তিনি। ম্যাচে আর কোন গোল না হলে ৩-১ ব্যবধানেই মাদ্রিদ জিতে নেয় ম্যাচটি।

এই জয়ের মাধ্যমে ২৪ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে লা-লিগার পয়েন্ট টেবিলের ৩য় স্থানে এখন রিয়াল মাদ্রিদ। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে বার্সা ও এথলেটিকো যথাক্রমে ৬২ এবং ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১ম এবং ২য় স্থানে রয়েছে।