রিয়াল মাদ্রিদ আবারো মঞ্চায়ন করলো এক অনবদ্য কামব্যাক। এবার সেটা রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে। ৮ গোলের এক টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রিয়াল জয় লাভ করলো ৫-৩ গোলে। রিয়ালের ৫ গোলের মধ্যে ২টি করেছেন মার্কো এসেন্সিও। রোনালদো, রামোস, বেঞ্জেমা করেছেন ১টি করে গোল।
মাদ্রিদ ম্যানেজার জিনেদিন জিদান পিএসজির বিপক্ষে যে স্কোয়াড মাঠে নামিয়েছিলেন তার প্রায় অর্ধেক খেলোয়াড়কেই এই ম্যাচের শুরুতে বেঞ্চে দেখা গেছে। শুরুর একাদশে দেখা গেছে এসেন্সিও, লুকাস ভাস্কেস, দানি কার্ভাহাল, মাতেও কোভাচিচ এবং গ্যারেথ বেলকে।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের ১১তম মিনিটেই গোল উৎসব শুরু করেন রিয়ালের তরুণ তারকা মার্কো এসেন্সিও। কিন্তু ৩৩ তম মিনিটেই বেতিসের মেন্ডি সেই গোল পরিশোধ করেন। এর ৪ মিনিট পরেই আরেকটি গোল হজম করে বসে রিয়াল। বেতিসের কোন খেলোয়াড় না, বেতিসের হয়ে এবার গোল করে বসেন মাদ্রিদ ডিফেন্সের মিস্টার ডিপেন্ডেবল নাচো। এরই মাঝে হ্যামস্ট্রিং ইঞ্জুরি নিয়া মাঠ ছাড়েন মার্সেলো। সব মিলিয়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে অসুবিধাজনক এক অবস্থানের মধ্যে প্রথমার্ধ শেষ করে মাদ্রিদ। ফার্স্ট হাফের সেরা দল ছিল রিয়াল বেতিসই।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিট না পেরুতেই অসাধারণ হেডের মাধ্যমে মাদ্রিদকে খেলায় ফেরান রিয়াল মাদ্রিদ ক্যাপ্টেন সার্জিও রামোস! গোলের ধারা এরপরেও চলতে থাকে। ম্যাচের ৫৯ তম মিনিটে ম্যাচে নিজের ২য় গোল করেন এসেন্সিও। তার গোলের মধ্য দিয়ে মাদ্রিদ ম্যাচে আবারো লিড নেয়। এই গোলে মাদ্রিদ একটি নতুন রেকর্ডও গড়েছে। সেটা হলো প্রথম স্প্যানিশ দল হিসেবে লীগে ৬ হাজার গোল করার মাইলফলক।
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে মাদ্রিদ তাদের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর কাছে থেকে বল পেয়ে তা বেতিসের জালে ঠুকে দেন রোনালদো। গত ছয় ম্যাচে এই গোলটি ছিল রোনালদোর ১০ম গোল। রোনালদোর করা গোলের পরে মনে হচ্ছিলো বেতিসের জন্য ম্যাচটি বোধহয় এখানেই শেষ! কিন্তু নাটকীয়তার তখনো বাকি ছিলো।
ম্যাচের ৮৫ তম মিনিটে বেতিসের হয়ে অসাধারণ এক নিচু পাস থেকে ট্যাপ ইনে গোল করেন লিওন। এই গোলের সাথেই ম্যাচে আবারো কোন নতুন বাঁকের সূচনার আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো। কিন্তু এরপর সর্বকিছু দিয়ে চেষ্টা করার পরেও বেতিসের খেলোয়াড়রা আর মাদ্রিদের জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি। উলটো ম্যাচে সাবস্টিটিউট হিসেবে নামা করিম বেঞ্জেমা রিয়ালের হয়ে আরো একটি গোল করে বসলে ম্যাচটি ৫-৩ গোলে শেষ হয়। ৬ হাজার গোলের মাইলফলকের দিনে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদ। যদিও এই জয়ের পরেও লীগ টেবিলে তাদের অবস্থান ৪র্থ।