জুমআ’র দিনের আমল ও আদব

জুমআ’র দিনের আমল ও আদব

জুমআ’র পূর্বের আদবসমূহ

১. জুমু’আর আযানের পরপর বেচাকেনা বন্ধ করা

২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

  • সুন্নাহ অনুযায়ী গোসল করা
  • নখ কাটা ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা
  • সুন্নাহ অনুযায়ী উদু করা
  • উত্তম পোশাক পরা
  • চুলে তেল দেওয়া
  • সুগন্ধি লাগানো
  • মিসওয়াক করা
  • মসজিদে যাওয়ার আগে রসুন-পেয়াজ বা অন্য যেকোনো কিছু দুর্গন্ধ মুখ থেকে দূর করা

৩. আগেভাগে মসজিদে যাওয়া

 

জুমআ’র নামাজের সময়কার আদব

১. মসজিদে ঢোকার সময়ের আদব।

  • বিসমিল্লাহ, দরূদ ও মসজিদে প্রবেশের দু’আ পড়ে ঢোকা।
  • বসা কাউকে ডিঙিয়ে/দু’জনকে আলাদা করে/কাউকে উঠিয়ে নিজে বসা হারাম।

২. ফরজের পূর্বের নামাজ।

• দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে মসজিদে না বসা।

৩. খুতবার সময় বসার আদবসমূহ

• যথাসম্ভব ইমামের কাছাকাছি বসা।
• চুপ করে খুতবাহ শোনা।
• খুতবার সময় অন্য কিছু না করা। এমনকি খুতবা শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাউকে চুপ থাকতে আর বলা যাবে না। কোনোকিছু চিমটানো বা মোবাইল ব্যবহার অথবা অন্যকিছু সব নিষিদ্ধ এ সময়।
• খুতবার সময় ঘুম ঘুম লাগলে বসার ধরণ পরিবর্তন করা।

৪. ইমামের পেছনে নামাজের সময়কার আদবসমূহ।

• কাতার সোজা করা।
• গায়ের সাথে গা মিলিয়ে দাঁড়ানো।
• সুরা ফাতিহার পর “আমীন” বলা।
• আকাশের দিকে না তাকানো।
• কঠোরভাবে ইমামের অনুসরণ করা।

৫. জুমু’আর পরের সুন্নাত নামাজ আদায় করা।

• ফরজ নামাজের জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সুন্নাত নামাজ আদায় করা।
.

জুমআ’র দিনের গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু আমল

  • সূরা কাহাফ তিলাওয়াত (কমপক্ষে দশ আয়াত হলেও)
  • বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা।
  • বেশি করে দু’আ করা।

হযরত সালমান আল ফারসী (রা:) হতে বর্ণিত নবী করীম (সা:) বলেছেন, জুমআর দিনে যে গোসল করে, চুলে অথবা শরীরে সুগন্ধি লাগায়, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর (জুমআ’র  জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর তাওফীক মতো নামায পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে বিগত জুমআ’ থেকে ওই জুমআ পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮৮৩; মুসনাদে আহমদ ৮/৪৩ (২৩৭১০)