বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে দশ একরের একটি বড় সবজি ক্ষেত আর তার এক পাশে পর্নোতারকা সানি লিওন-এর লাল বিকিনি পরা ছবিওয়ালা পোস্টার। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের নেল্লোরে জেলার এক সবজি চাষি মানুষের কুনজর এড়াতে এমন পোস্টার লাগিয়েছনি। হিন্দুস্তান টাইমস-এর ওই খবরটি দেখে যে কারো মনে আসবে, কীই বা অসম্ভব ছিল ভারতে!
অন্ধ্র প্রদেশের বান্দা কিন্দি পাল্লে গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী কৃষক চেঞ্চু রেড্ডি-র মতে, সব বদনজর গিয়ে পড়বে ওই ছবিতে। আর এতে তার সবজি ক্ষেত থাকবে সুরক্ষিত।
চেঞ্চু রেড্ডি ইন্ডিয়ান-আমেরিকান পর্নোতারকা সানি লিওনের বিশেষ ভক্তও নন। তিনি একেবারেই তার বিশাল ফুলকপি আর বাঁধাকপির ক্ষেত রক্ষার চিন্তা মাথায় রেখে ওই পোস্টার লাগিয়েছেন। তার ধারণা, এতে শুধু তিনি একা নন, গ্রামের অন্য কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন।
‘এ বছর ফলন বেশ ভালাে। মাঠে যারা আসছনে তাদেরই বাড়তি মনােযোগ আকর্ষণ করছে আমার ফসল। তাই ভাবলাম, এটি হয়তো কাজে দেবে। গত সপ্তাহে পোস্টারওয়ালা সাইনবোর্ডটি রেখেছি’- মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন ওই কৃষক চেঞ্চু রেড্ডি।
পোস্টারে সানি লিওনের ছবির পাশে তেলেগু ভাষায় লেখা, ওহে, আমারে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ো না, লাভ নেই!’
রেড্ডি জানান, ওই কৌশল একশতে একশ কাজে দিয়েছে। লোকজন এখন আর আমার ফসলে চোখ দিচ্ছে না। তারা সবাই সানি লিওনের ছবিতে ব্যস্ত। বেশ কার্যকর পদ্ধতিই বটে।
ফসলে বদনজর এড়াতে বাংলাদেশ, ভারতসহ আশপাশের বেশকিছু দেশে কাকতাড়ুয়া টাঙানোর নজির বেশ পুরনো। একটি খুঁটি বা বাঁশের মাথায় কালিওয়ালা মাটির পাতিল বা কুমড়ার ঠোস দিয়ে পুরনো কাপড় পরিয়ে দেয়া হয়। আর পাতিলে মানুষের চোখ-নাক-মুখ এঁকে দেয়া হয় চুন দিয়ে। তেলেগু ভাষায় কাকতাড়ুয়াকে বলা হয় ‘বোম্মালু’। কিন্তু বিকিনিওয়ালা কাকতাড়ুয়া যে ভারতের ইতিহাসে প্রথম এটি বলাই যায়।
ওই ছবি লাগানোয় মানুষ যদি অশ্লীলতার অভিযোগে আইনের আশ্রয় নেয় অথবা সানি লিওনের দিক থেকেই আপত্তি আসে তাহলে কী করবেনন প্রশ্নের জবাবে কৃষক চেঞ্চু রেড্ডি বলেন, ‘আমাদের মাঠের সমস্যায় তো কোনােদিন সরকারের কর্মকর্তারা আসেন না। এখন ওই ছবি নিয়ে কেন আসবেন! তাদের ওই অধিকার নেই।’