ঘৃতকুমারীর যতো গুণ

ঘৃতকুমারীর যতো গুণ

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের গোড়া থেকে সবুজ রঙের পাতা বের হয়। আর পাতাগুলো পুরু হয়। এর দু’পাশে করাতের মতো ছোট ছোট কাঁটা থাকে। পাতার ভেতরে স্বচ্ছ পিচ্ছিল ধরনের শাঁস থাকে। এটিকে বলে ‘অ্যালাভেরা জেল’।

ঘৃতকুমারীর পাতা থেকেই নতুন গাছ জন্মায়। এর গুণ অনেক। পাতা থেকে ঘৃতকুমারী জেল বের করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে সামান্য মধু দিয়ে বানানো যায় শরবত। প্রতিদিন এক গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত শরীর রাখবে সুস্থ। এর পাশাপাশি সৌন্দর্যও বাড়াবে। এছাড়া হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।

যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরার রস রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে বিশেষভাবে কার্যকর। যারা নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অন্যদের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি উন্নত থাকে। অ্যালোভেরার রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন এক গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত দেহের সাদা রক্ত কণিকা বাড়ায়। তা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।

হজম শক্তি বাড়াতেও অ্যালোভেরা বিশেষ উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াজনিত সমস্যার সমাধান করতে পারে। এর পাশাপাশি পেটের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করতে সহায়তা করে। ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে অ্যালোভেরা। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিএইজিং উপাদান ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকর। প্রতিদিন এক গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত পান করলে দেহের ভেতর থেকে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন– ব্রণ, ইনফেকশন, এমনকি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলে ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুলের জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস অ্যালাভেরার শরবতই যথেষ্ট। চুল পড়া, আগা ফাটা ও পাতলা হয়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা করে এটি। তেলের সঙ্গে এর রস মিশিয়েও চুলে লাগাতে যায়।

১ thought on “ঘৃতকুমারীর যতো গুণ

কমেন্ট বন্ধ।