♦ তাকে পেনালদো বললে বোধ করি রোনালদো বিচলিত হন না। খারাপ কি খুব বেশি বলছেন তারা? সর্বশেষ ম্যাচেও এক জোড়া গোল এসেছে স্পট কিক থেকে। পেনাল্টিতে পা জোড়া বিশ্বস্ত। মিস হয় না তা নয়, গোল হয় ঢের বেশি। স্প্যানিশ লা লিগায় পেনাল্টি গোলের ৮৫.৩০ শতাংশ অ্যাকিউরেসি বলে দেয় তেকাঠির ১২ মিটার সামনে তিনি কতটা হিংস্র। চলুন, আজকের পেনালদোর পেনালদো হয়ে ওঠার পেছনের ইতিবৃত্ত জেনে আসি।
♦ প্রথম পেনাল্টি গোল- ২০০৫ সালের ৩০ নভেম্বর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ২০ বছরের তরুণের প্রথম সফল স্পট কিক সম্পন্ন। টুর্নামেন্টের নাম ‘ইএফএল কাপ’।
♦ পেনাল্টির রজতজয়ন্তী সংখ্যা- মানে, ২৫তম গোল। এসেছে ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর। লা লিগায় প্রতিপক্ষ মালাগা।
♦ হাফ সেঞ্চুরি- ‘ক্রিশ্চিয়ানো স্কোরস ফিফটি গোল ফ্রম পেনাল্টি, অ্যা ফিউ সেকেন্ড এগো’…২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ধারাভাষ্যকারকে এমনটি বলার সুযোগ দিয়েছেন রোনালদো, নিজের ৫০তম পেনাল্টি গোল করে।
♦ গোল নাম্বার ৭৫- ২০১৫ সালের ১ মার্চ। পেনাল্টি ও গোল, ৭৫তম…।
♦ শততম- ১৩ বছর আগে যে যাত্রার শুরু তা মাইলফলক ছুঁয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি। ইএফএল কাপ হয়ে লা লিগা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে রিয়ালের প্রথম গোল। রোনালদোর শততম পেনাল্টি লক। পরেরটায় সংখ্যা বেড়েছে। ১০১, নট আউট!
♦ ক্যারিয়ারে মোট ৬২৮! গোলের ১০১টি এসেছে স্পট কিকের মাধ্যমে। এর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৭৭, ইউনাইটেডে ১৭ ও পর্তুগালের জার্সিতে করেছেন ৭টি গোল।
♦ দীর্ঘ পথপরিক্রমায় লা লিগায় গোল দিয়েছেন ৬১টি এবং শট লেগেছে ৭১টি।
♦ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সংখ্যাটা ১৩। এর একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে। শট ১৫টি।
♦ এরপর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ গোল করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। শট সংখ্যা মাত্র ১৩!
♦ স্প্যানিশ কোপা দেল রে ও ইংলিশ এফএ কাপে স্পট কিকে উদযাপন করেছেন তিনবার করে। এছাড়া ইএফএল কাপে ২টি ও ক্লাব বিশ্ব কাপে রয়েছে ১টি গোল।
♦ দেশের হয়ে পেনাল্টি গোল ৭টি। বিশ্বকাপ ও ইউরোর বাছাই পর্বে ২টি করে এবং কনফেডারেশনস কাপ, বিশ্ব কাপ ও আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে দিয়েছেন ১টি করে। ৭ গোল করতে প্রয়োজন হয়েছে ১১টি শটের।
♦ পেনাল্টিতে নির্ভরতার প্রতীক রোনালদোর ক্যারিয়ার শেষে পেনাল্টি গোলের সংখ্যাটা বাড়বে নিঃসন্দেহে। এ নিয়ে টিপ্পনি কাটতে থাকারাও বিশ্বাস করবনি, স্পট কিক নেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। একটু ভুলে ভাঙতে পারে লালিত স্বপ্ন।