* ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জিতলেন ওজনিয়াকি।
* দুই ফাইনালিস্ট সিমোন হালেপ ও ওজনিয়াকি দু’জনেরই এটা ছিল তৃতীয় ফাইনাল।
* এই জয়ে সিমোন হালেপ-কে হটিয়ে শুধু শিরোপা নয়, ওজনিয়াকি ফিরলেন র্যাং রাংকিংয়ের শীর্ষেও।
* ডেনিস রূপকথার জন্ম দিলেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। তার আগে ডেনমার্কের কোনাে খেলোয়াড় জিততে পারেননি গ্র্যান্ডস্লাম।
২ ঘণ্টা ৪৯ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর মেলবোর্ন পার্ক পেল নতুন রানী। এতক্ষণে সবাই জেনে গেছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকির নাম। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে দুই ফাইনালিস্টকে দাঁড় করিয়েছে একই মোহনায়। এর আগে দু’বার ফাইনাল খেলেও গ্র্যান্ডস্লাম বাগাতে পারনেনি কেউই। এবার ওই বৃত্ত ভেঙেছে। হেসেছেন ওজনিয়াকি, কেঁদেছেন হালেপ। ২৭ বছর বয়সী ওজনিয়াকির এটি প্রথম ফাইনাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। শুরুতেই কিস্তিমাত। কিস্তিমাতের ওই পথে অবশ্য ভালোই কাঁটা বিছিয়েছেন হালেপ। ৭-৬ (ট্রাইবেকে ৭-২)-এ প্রথম সেটে হারার পর পরের দুই সেটে রোমানিয়ান লেডিকে ৩-৬, ৪-৬-এ হারিয়ে অশ্রুউল্লাসে মেতে ওঠেন ওজনিয়াকি।
‘আমি কখনো কাঁদি না। কিন্তু মুহূর্তটি আবেগময়। আমার গলা ধরে আসছে। বিশেষ এই সময়টার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম’- পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ভেজা চোখে এমনটিই বলেন ততক্ষণে রড লেভার অ্যারেনার সব আলো নিজের দিকে টেনে নেয়া নতুন নাম্বার ওয়ান ওজনিয়াকি। অভিনন্দন জানাতে ভােলেননি হালেপকেও- ‘দুঃখিত বন্ধু! জানি, দিনটি কত দুঃসহ তোমার কাছে।’
সত্যিই। এত কাছে তবু কত দূরের যন্ত্রণা ওজনিয়াকির চেয়ে ভালো বােঝেনই বা ক’জন? শীর্ষে থেকেও পারেননি ইউএস ওপেন নিজের করতে।
অবশেষে পান করলেন প্রথম গ্র্যান্ডস্লােের অমৃত সুরা।
অভিবাদন, নতুন রানী…।