চলতি শতকের শুরু থেকে চারিদিকে কেমন যেন এক অস্থির ভাব। জীবন যাত্রা থেকে শুরু করে স্বাভাবিক কথপোকথন; সবখানেই কিসের যেন এক অস্থিরতা। প্রতিনিয়তই মানুষ যেন ছুটে চলেছে। ছুটে চলেছে অজানা গন্তব্যের দিকে, এক মুহুর্ত দম নেবার যেন জো নেই। ক্রমবর্ধমান এই অস্থিরতার ছাপ পড়েছে ক্রীড়া জগতেও। ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড এর ঘরোয়া আসরগুলোতে দর্শক সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছিলো আশংকাজনক ভাবে। কয়েক ঘন্টা ধরে বসে থেকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ কিংবা লিস্ট ’এ ম্যাচে আর আকর্ষণ খুজে পাচ্ছিলো না ব্রিটিশ দর্শকরা। সারাদিন বসে থেকে একটি ম্যাচের ফলের জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে নব্বই মিনিটের উত্তেজনায় ঠাসা ফুটবলেই যেন ফুর্তি খুজে নিচ্ছিলো সবাই। ক্রিকেটের কুলীন সদস্য ইংল্যান্ডে টেস্ট প্রেমীর সংখ্যা নেহায়েত কম না হলেও বোর্ড কর্তাদের কপালের ভাজ দুর করার জন্য তা যথেষ্ট ছিলো না। তাই, মাঠে দর্শক ফেরানোর উপায় খুজতে গঠিত হলো একটি বিশেষ কমিটি। যাদের উপর দায়িত্ব বর্তায় ক্রিকেট বিমুখ দর্শকদের পুনোরায় মাঠে ফেরানোর। সে কমিটির প্রধান ইসিবির মার্কেটিং ম্যানেজার স্টুয়ার্ট রবার্টসন প্রস্তাব করেন ক্রিকেটের এই নতুন সংস্করণের। ১১ থেকে ৭ ভোটে তার সে প্রস্তাব গৃহীত হলে আলোর মুখ দেখে টি টোয়েন্টি। প্রাথমিক অবস্থায় ইংল্যান্ডেরই শীর্ষ ক্লাবগুলোর অনেকেই আপত্তি তুলেছিলেন ক্রিকেটের এই নব সংস্ককরণ নিয়ে তখন, এর ব্যাবসায়িক দিকের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছিলো মাঠে দর্শক ফেরানোর সম্ভাবনা। স্বল্প সময়ে পূর্ণ বিনোদন এই স্লোগানে যাত্রা শুরু করে টি টোয়েন্টি। প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালের ১৩ জুন চেস্টার লি স্ট্রিটে ডারহাম এবং নটিংহ্যম্পশায়ারের মধ্যে।
মাঠবিমুখ দর্শকদের মাঠে ফেরানোর জন্য যার জন্ম সে আচমকা ক্রিকেটের অধিকর্তার আসনে বসে যাবে এমনটি বোধয় কেউই ভাবেনি। অর্জুনা রানাতুঙ্গাসহ ক্রিকেটের বিশুদ্ধবাদীরা তো সরাসরিই অবস্থান নিয়েছিলেন এর বিরুদ্ধে। কিন্তু, বর্তমান বাস্তবতায় টি টোয়েন্টিকে অস্বীকার করার কোনো জো তো নেইই, বরং এর মাঝেও যাতে টেস্ট এবং ওয়ান ডে আবেদন না হারায় সে জন্য আইসিসিকে প্রতিনিয়ত বের করতে হচ্ছে নিত্য নতুন ফর্মুলা।
নিছক বিনোদনের মাধ্যম থেকে বাণিজ্যিক লক্ষীতে পরিনত হওয়া টি টোয়েন্টির বর্তমান অবস্থানের পেছনে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং টেলিভিশন চ্যানেল জি এন্টারটেইনমেন্ট এর মধ্যকার দ্বন্দ। লাভজনক বলে বিবেচিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রচার স্বত্ত্ব লাভের প্রচেষ্টা বারংবার হোচট খেলে ভিন্ন পথ অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেয় জি গ্রুপ। সাবেক ক্রিকেটারদের সাথে নিয়ে নয়া ফর্মুলায় চালু করে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ নামক টি টোয়েন্টি লিগ। প্রথম দিকে অবসরপ্রাপ্ত এবং আনকোরা ক্রিকেটারদের নিয়ে যাত্রা শুরু করা আইসিএলকে সে অর্থে গ্রাহ্য করেনি বিসিসিআই। কিন্তু বেপোরোয়া জি গ্রুপ অর্থের প্রলোভনে সাবেকদের পাশাপাশি তৎকালিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নিয়মিত মুখদের আইসিএলমুখী করে তুললে নড়েচড়ে বসে বিসিসিআই। বিশেষ করে যখন পাকিস্তানের সাবেক এবং তখনো অবসর না নেয়া খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে লাহোর বাদশাহ এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের তৎকালিন সাতজন নিয়মিত ক্রিকেটার সহ ঢাকা ওয়ারিয়র্স নামক দুটি দলের অংশগ্রহণ করার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে তখন। আইসিসির অন্যতম প্রভাবক সদস্য বিসিসিআইয়ের প্ররোচনায় টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো ঘোষণা দিতে বাধ্য হয় যে, যারা আইসিএলে অংশ নিবে জাতীয় দলের দরজা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে চিরতরে। সে হুমকিতেও তেমন একটা কাজ হয়নি। হুমকি উপেক্ষা করেই অনুষ্ঠিত হয় আইসিএল এর দ্বিতীয় আসর।
২০১৮ এর সূচনালগ্নে বসে বিগত দশকের শেষার্ধে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার আলোকপাত কেনো করলাম এবার আসি সে কথায়। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে ক্রিকেটের আইন কানুন প্রয়োগকারী সংস্থা এমসিসির সভ্য হবার সৌভাগ্য লাভ করেছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম সভাতে যোগ দিয়েই তিনি আলোকপাত করেছেন টি টোয়েন্টির ব্যাপক অর্থের প্রলোভন এবং বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যকার বেতনের যে বিস্তর ফারাক, তা তরুণ প্রজন্মকে অনাগ্রহী করে তুলছে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবার ক্ষেত্রে। আড়ালে আবডালে বহুজন বহুবার এ কথা বললেও সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে এর আলোকপাত করে সাকিব পুরো বিষয়টি নিয়ে পুনরায় ভাবতে বাধ্য করেছেন বোদ্ধাদের। তার স্বরে সুর মিলিয়ে সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংও আহ্বান জানিয়েছেন বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখার। এখন, এখানে প্রশ্ন হলো সাকিবের সে বক্তব্যের সাথে আইসিএল এর যোগসূত্র কোথায় এবং বর্তমান অবস্থানটা আসলে কিরুপ?
কোনোক্রমেই যখন আইসিএলকে ঠেকানো যাচ্ছিলো না তখন বিসিসিআই হাটলো ভিন্ন পথে। তৎকালীন বিসিসিআই সহ সভাপতি লোলিত মোদির মস্তিষ্ক প্রসব করলো অনেকটাই আইসিএল ধাচের টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএল। বিশ্বের তাবৎ বড় খেলোয়াড়দের এনেই ক্ষ্যান্ত দিলেন না তিনি, সাথে যোগ হলো বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রলোভন এবং বলিউডের গ্লাম্যার। একই সাথে বিশ্ব দেখলো দাস প্রথার নবরুপ। নিলামে ক্রিকেটার বেচাকেনার মতো অভাবনীয় সে দৃশ্যে ক্রিকেটাররা নির্বিকার ছিলেন বিপুল অর্থের প্রলোভনে। ক্রিকেট আর ক্রিকেটের জায়গায় থাকলো না বরং হয়ে উঠলো ভিন্ন কিছু।
বিসিসিআই’র প্রভাবে এটি জায়গা করে নিলো আইসিসির বর্ষসূচীতেও। তাতেও যেন ঠিক নিশ্চিত হতে পারছিলেন না মোদি গং। বাড়তি অনুষঙ্গ হিসেবে যৌন সুড়সুড়ি দিতে মাঠে নামালেন স্বল্প বসনা লাস্যময়ীদের। তাতে, ক্রিকেটের কোনো লাভ হয়েছে কি না কে জানে তবে, ফুলে ফেপে উঠেছে বিসিসিআই এর ব্যাংক ব্যালান্স।
একটা ছোট্ট হিসাব দেই। ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আইপিএল এর টাইটেল স্পন্সর হওয়ার জন্য ডিএলএফকে খরচ করতে হয়েছিলো ৪০ কোটি রুপি। ২০১৩ থেকে ২০১৫ তে পেপসির খরচ হয়েছিলো ৭৯ দশমিক ২ কোটি রুপি। ২০১৬ থেকে ১৭ তে ১০০ কোটি এবং ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএল এর টাইটেল স্পন্সর হওয়ার জন্য ভিভো খরচ করেছে যথাক্রমে ১০০ কোটি এবং ৪৩৯ দশমিক ৮ কোটি রুপি। আর সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ দশ বছরে বিসিসিআই এর আয় হবে মার্কিন ডলারে ১ দশমিক ০২৬ বিলিয়ন।
এখন তরুণ খেলোয়াড়দের জাতীয় দল বিমুখ হয়ে টি টোয়েন্টিতে প্রলুব্ধ হবার যে কথা সাকিব বলেছেন তার সাথে আইপিএল যোগসূত্রটা কোথায়? আপনি অন্য সব দলের কথা বাদ দিন; শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের দিকেই একবার লক্ষ্য করুন, তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে পুরো বিষয়টি। জাতীয় বোর্ডের সাথে বেতন ভাতা নিয়ে দ্বন্দে জড়ানো ক্যারাবিয়ানরা জাতীয় দলের খেলার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে টি টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়ানোকে। বিশেষ করে আইপিএলে তাদের সংখ্যা এবং আয় নজর কাড়ার মতো। ক্যারাবিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম বড় তিনটি মুখের আইপিএল থেকে আয়ের হিসাব দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলে গেইলের আয় হয়েছে ১৪ লাখ মার্কিন ডলার। তারপরেই রয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাইরন পোলার্ড। তার আয় ৯ লাখ মার্কিন ডলার এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলে সুনীল নারিন আয় করেছেন ৭ লাখ মার্কিন ডলার। জাতীয় দলের হয়ে বছর জুড়ে খেলার চেয়ে মাত্র দু মাসে এ বিপুল আয় যে তাদের জাতীয় দল বিমুখ হবার অন্যতম কারণ তা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। এবার একটু নজর দেই আইসিসির ম্যাচ খেলে একজন খেলোড়ার কত টাকা আয় করেন সেদিকে। প্রতিটি টেস্টের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটাররা পান ২৩ হাজার মার্কিন ডলার। এরপরে যথাক্রমে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রী লংকা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং জিম্বাবুয়ের খেলোড়াররা। মার্কিন ডলারে এসকল দেশের খেলোড়ারদের আয় টেস্ট প্রতি যথাক্রমে ১৯ হাজার ৭০০, ১২ হাজার ৩৩৯ থেকে ১৭ হাজার ২৭৫, ৬ হাজার ৯৯, ৫ হাজার ৭৫০ থেকে ৬ হাজার ৯২৫, ৫ হাজার, ৪৩০০, ৪ হাজার ২৮৩ থেকে ৫ হাজার ৭৪৬ এবং ২ হাজার ডলার। বৈষম্যটা বেশ পরিষ্কার। ভারতের এ গ্রেডে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন যেখানে ২ কোটি রুপি সেখানে বাংলাদেশে ২ লাখ টাকা এবং পাকিস্তানে ৫ লাখ রুপি। বোর্ডের আয়ের উপরে খেলোয়াড়দের বেতন ভাতা নির্ভর করাটা যৌক্তিক। সেটি নিয়ে কারো আপত্তিও নেই, কিন্তু আইসিসির ম্যাচ ফির এ বৈষম্য ভাববার মতো বিষয়।
এ তো গেলো আয় বৈষম্যের একটি সংক্ষিপ্ত রুপ। আইপিএলের পথ ধরে একে একে জন্ম নিয়েছে বিপিএল, পিএসএল, সিপিএল সহ অর্থের প্রলোভন দেখানো আরো বেশ কিছু ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি টোয়েন্টি লিগ।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে জন্মলগ্ন থেকেই প্রত্যেকটি লিগ নানাবিধ কারণে বিতর্কিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ম্যাচ পাতানো, স্পট ফিক্সিং, মানি লন্ডারিংসহ আরো বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে এ লিগগুলোর বিপক্ষে।
এখানে, সাকিব আরো একটি যৌক্তিক প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। তিনি বলেছেন চড়া মূল্যে কিনা এ খেলোয়ারদের টাকাটা ঠিক কোথায় যায় বা যাদের এ মূল্য দিয়ে কেনা হচ্ছে সেটিও ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এখানে যে বিষয়টি চোখে পড়ার মতো তা হলো, এসব লিগের মালিকানায় যে সকল গ্রুপ রয়েছে তাদের কেউই সে অর্থে ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট না। এমন প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রিকেটের উন্নয়নের চেয়ে যে ব্যাবসায়িক মুনাফাকেই প্রাধান্য দিবে এটাই স্বাভাবিক। আর এ স্বাভাবিক ঘটনাই জন্ম দিচ্ছে নানা রকম অঘটনের।
সন্দেহ নেই এ সকল লিগ ক্রিকেট বোর্ডগুলোর জন্য সোনার ডিম পাড়া হাসের ন্যায়। কিন্তু এতে মূল যে বিষয় ক্রিকেট; তার ঠিক কি উন্নতি হচ্ছে সেটিও ভেবে দেখার সময় এসেছে। ড্রেসিং রুমে ক্রিকেট বিশ্বের বড় সব নামের সাথে সময় কাটানো, একই সাথে প্র্যাক্টিসের সুযোগ নিঃসন্দেহে তরুণদের জন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের এক বিশাল সুযোগ। কিন্তু, টি টোয়েন্টি শুধুমাত্র একটি চটকদার খেলা। এটি খেলে স্কিলে উন্নতি আনা প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে, যেখানে বেসিক শিক্ষাটা ঠিক খুব কম ক্রিকেটারই পায়। এখন টেস্টের কঠিন আঙ্গিনায় নেমে সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়ার চেয়ে মাত্র চৌদ্দ পনেরোটি ম্যাচ খেলে যদি বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করা যায় তাহলে খুব কম ক্রিকেটারকেই পাবেন যে স্বল্প পরিশ্রমে বিপুল অর্থের মালিক হবার বদলে কঠিন সে পথে হাটতে চাইবে।
বর্তমান অবস্থায় ক্রিকেটে টি টোয়েন্টি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি আর অস্বীকার করবার মতো অবস্থা নেই। কিন্তু, সার্বিক উন্নয়ন চাইলে এ লাগামহীন অর্থব্যয়ের যেমন লাগাম টেনে ধরা উচিত তেমনিভাবে উচিত শুধু টি টোয়েন্টি না বরং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও ভালোমানের বিদেশিদের খেলার সুযোগ করে দেয়া।
বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমানে আইসিসি অনেকটাই জিম্মি ক্রিকেটের তিন মোড়ল ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের হাতে। আরো স্পষ্ট করে বললে ভারতের হাতে। আর তার ফায়দা নিয়ে আইপিএল নামক যে রঙ্গ চলছে তাতে যোগ দিয়ে বাকি দেশগুলোও ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক যে রঙ্গের জন্ম দিচ্ছে তাতে নিকট ভবিষ্যতে জাতীয় দলগুলো যদি মানসম্পন্ন ক্রিকেটারের অভাবে ভুগতে শুরু করে তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। ক্রিকেটের সত্যিকারের ভক্তদের স্বল্প বসনাদের কোমর দুলানো দেখিয়ে যৌন সুড়সুড়ির মাধ্যমে মাঠে দর্শক ধরে রাখার যে ভারতীয় চেষ্টা বিসিসিআই চালাচ্ছে তার আদতে কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বরং, নিজেদের দেউলিয়াপানা এক নির্লজ্জ্ব উপস্থাপনের মাধ্যমে এ লিগগুলো সত্যিকার ক্রিকেট ভক্তদের কাছে হয়ে উঠছে অসহনীয়। সাকিবের উত্থাপিত এজেন্ডাটার গুরুত্ব অনুধাবন করে অথর্বে পরিণত হওয়া আইসিসি ক্রিকেটকে বাইজি নাচ থেকে মুক্ত করে পুনরায় ভদ্রস্থ রুপে ফেরত নিতে ভূমিকা রাখবে, এমনটাই প্রত্যাশ্যা ক্রিকেট সমর্থকদের।