সম্প্রতি জার্মানির কট্টর ইসলাম বিরোধী ডানপন্থী রাজনৈতিক দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সংসদ সদস্য আর্থার ওয়াগনার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইসলাম বিরোধিতা এবং অভিবাসন বিরোধী অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে দলটি জার্মানিসহ সমগ্র দুনিয়া জুড়েই আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
আর্থার ওয়াগনার এএফডির একজন নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। সংগঠনটি মনে করে “ইসলাম জার্মানির অংশ নয়।” তবে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ১১ জানুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৫ সালে এএফডিতে যোগ দেয়া ওয়াগনার দলটির চার্চ এবং ধর্ম বিষয়ক কমিটিরও প্রধান ছিলেন। এর আগে তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ‘ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি’র রাজনীতি করতেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এএফডির নেতা আন্দ্রেস ক্যালবিজ বলেন, “এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কারণ দলের মধ্যে তিনি খ্রিস্টধর্মের একজন কট্টর লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।” যদিও ওয়াগনারের আচমকা এই পদত্যাগে দলের কোনো ক্ষতি হবে না বলেই তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে ওয়াগনার তার ইসলাম গ্রহণকে তার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে দাবি করে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হন নি।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শরণার্থী এবং অভিবাসন বিরোধী দল হিসেবে এএফডি ২০১৭ সালের নির্বাচনে ১২ দশমিক ৬ ভাগ ভোট নিয়ে প্রথমবারের মত বুন্ডেসটার্গে প্রবেশ করে রেকর্ড গড়ে সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০১৩ সালে গঠিত দলটি অভিবাসন বিরোধিতার পাশাপাশি ইসলাম বিরোধী হিসেবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
কিছুদিন আগেই এএফডির কো-চেয়ারম্যান আলেকজেন্ডার গ্যালেন্ড ‘ইসলামের ক্রমাগত প্রসার বর্তমান জার্মানির জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে’ এমন মন্তব্য করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েন। তাছাড়া ইতোমধ্যে দলটির ডেপুটি লিডার বেট্রিক্স ভন স্ট্রচসহ বহু নেতা ক্রমাগত ইসলাম বিরোধিতামূলক অবস্থানের জন্য ফেসবুক টুইটার থেকে কালো তালিকা ভুক্ত হয়েছে।