ইএফএল কাপের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে গোল শূন্য ড্র করেছে চেলসি-আর্সেনাল। সদ্য এফ এ কাপ থেকে বাদ পড়ে এবং লীগ টেবিলের ছয়ে থাকায় ফ্যানদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে।
আর্সেনালের হয়ে তার গত এক যুগে সফলতা বলতে শুধু এফ এ কাপে আধিপত্য; এবার সেই এফ এ কাপ থেকেও ৩য় রাউন্ডে বাদ পড়ায় বেশ চাপেই আছেন ওয়েঙ্গার।
অন্যদিকে গতবারের লীগ জয়ী চেলসির অবস্থানও এবার গতবারের চেয়ে বেশ নড়বড়ে। তাই ইএফএল কাপের
ফাইনাল খেলা এবং কাপ জয় করাটা দু দলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
লন্ডন ডার্বি নিয়ে তাই ভক্তদের প্রত্যাশাটাও বেশি ছিলো। যদিও তা কোনো দলই পূরণ করতে পারেনি। প্রথমদিক থেকেই বেশ আক্রমনাত্মক খেলছিল চেলসি।
বেশ কিছু ভাল সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত আর্সেনালের রক্ষণভাগ এবং গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেনি
মোরাতা, হ্যাজার্ডরা।
অন্যদিকে আর্সেনাল ছিল কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর। ম্যাচের বয়স যখন ২১ মিনিট তখন সহজ একটি সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল ফরোয়ার্ড লেকাজাত্তে। সেটা কাজে লাগাতে পারলে এ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকতে পারত ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে গোড়ালিতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন আর্সেনালের মিডফিল্ডার উইলশেয়ার। আর দলের আক্রমণে ধার বাড়ানোর জন্য ৬৬ মিনিটে লেকাজাত্তের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন সানচেজ।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ড্রিংওয়াটারকে তুলে উইলিয়ানকে নামিয়ে চেলসির আক্রমণভাগ আরও শক্তিশালী করেন কন্তে। ম্যাচের একদম শেষের দিকে হ্যাজার্ড এবং মোরাতাকে বদলি করে কৌশলগত পরিবর্তন আনলেও শেষ পর্যন্ত সফলতার দেখা পায়নি চেলসি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এন্তোনিও কন্তে বলেন- “এটি আমাদের জন্য কিছুটা হতাশাজনক ছিল। কারণ এখন প্রতিটি ম্যাচে জয় পাওয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করেছি, বেশ কিছু ভাল গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোল করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টাগুলো সফল ছিল না।”
একই সংবাদ সম্মেলনে আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার ম্যাচ সম্পর্কে বলেন, “আজকের ম্যাচে আমরা আমাদের একাত্মবোধ এবং সু-শৃঙ্খল ফুটবল দেখিয়েছি। আমি আনন্দিত দলের এমন দৃঢ় মনোভাব দেখে।”
এএফএল কাপের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি এ মাসের ২৪ তারিখে আর্সেনালের মাঠ এ্যামিরেটসে অনুষ্ঠিত হবে।