প্রকৃতিতে এখন শীত। বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। কর্মস্থল কিংবা বাইরে বের হলে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। শীতের অনুভূতি উপভোগ্য হলেও দু’দিন ধরে বেড়েছে হাড় কাঁপানো কনকনে শীত। আর এ আবহাওয়াটা ফ্যাশনের জন্য চাদর যেমনি লোভনীয় তেমনি উপযোগী।
হিম হিম সকালে বা গোধূলিতে গায়ে চাদর জড়িয়ে রাখার মজাই আলাদা। চাদর দিয়ে যত সহজে শীত মোকাবেলা করা যায় ততটা অন্য কোনো পোশাকে হয় না। আর চাদর এখন শুধু শীত মোকাবেলার জন্য নয়, এটি হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশনের অস্ত্র। ফলে তাদের কাছে বেড়েছে চাদরের কদর।
দেশে বিভিন্ন নকশার চাদর পাওয়া যায়। নজরকাড়া এসব চাদরের বুনন ও ডিজাইন চমৎকার। ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের পছন্দের তালিকাতেও এখন চাদরের স্থান ঈর্ষণীয়। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ খাদি চাদর। তবে সিল্ক, খাদি, পশমি সুতা, মোটা সুতি ইত্যাদি কাপড়ের ওপর তৈরি হচ্ছে দেশীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির নকশা ও সেলাইয়ের কাজ। এছাড়া জরি, পুঁতি, চুমকি ও পাথরের করা চাদরও রয়েছে তরুণীদের চাহিদার তালিকায়।
অনেক ফ্যাশন হাউসে বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্মের নকশা করা চাদরও পাওয়া যায়। এসব চাদরের জমিনে লেখা ও আঁকা থাকে আবহমান গ্রামবাংলার দৃশ্য ও স্লোগান। আপনি চাইলে একরঙা চাদরে ইচ্ছামতো নকশা করে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, শীতের চাদরও ফুটিয়ে রাখবে আপনার ব্যক্তিত্বের ছাপ।
বর্তমানে চাদরের ফ্যাশনে এগিয়ে আছে তরুণ প্রজন্ম। রঙবেরঙের চাদর প্রয়োজনের পাশাপাশি হয়ে গেছে ফ্যাশনের একটি অংশ। তাই শুধু মেয়েদের জন্য নয়, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছেলেদের চাদরেও এসেছে বৈচিত্র্য। দেশি খাদি ও আদিবাসী শাল বেশ জনপ্রিয় ছেলেদের কাছে। টি-শার্ট, ফতুয়া কিংবা পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন নজরকাড়া সব চাদর।
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোয় পাবেন পছন্দসই নানান চাদর। ঢাকার নিউ মার্কেট, গাউসিয়া, বঙ্গবাজার থেকেও কিনতে পারেন। সাধারণ মানের শালের দাম পড়বে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। ফ্যাশন হাউসগুলোয় কটন ও খদ্দের শালের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। কাশ্মীরি শাল মিলবে ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।